দেশব্যাপী খরতাপ, পরিবেশের রুক্ষতা নিয়ে হৈচৈ’এর মধ্যেই মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছায়া ও অক্সিজেন দানকারী গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৭টি ছায়াবৃক্ষ কর্তন করে কলেজের অধ্যক্ষ। এলাকার ক্ষুব্ধ পরিবেশ প্রেমিরা এই অবিচার সইতে পারছে না।
প্রায় দুই যুগ ধরে গ্রামের কলেজের প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসীর যত্নে ছায়াবৃক্ষগুলো বড় হয়। কলেজের শিক্ষার্থীরা এই বৃক্ষের ছায়ায় পাঠ নিচ্ছে বহুদিন ধরে। গত ২ মে কলেজের অধ্যক্ষ, পরিচালনা কমিটির সদস্যের সহায়তায় কর্তৃপক্ষরা বনবিভাগের লোকজনদের সঙ্গে কথা না বলেই এ বৃক্ষগুলো কেটে ফেলেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা হবে।
স্থানীয়রা জানান, বৃক্ষ কর্তনে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। আমরা জেনেছি বন বিভাগের অনুমতি মতামত কিংবা তাদেরকে দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করাও হয়নি। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা কলিয়া কারিগরি ও কলেজের গাছ কাটার বিষয়ে কোন কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তাইজুল ইসলাম জানান, আমাদের এ কলেজের ভবন নির্মাণের জন্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন নিয়ে এবং পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে এই গাছগুলো কর্তন করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি জেনে আপনাকে বক্তব্য দিতে পারবো।
ইএইচ