ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার দীর্ঘ ১ মাস ১৬ দিন তথা দেড়মাস ধরে সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) নেই। এসিল্যান্ড শূন্যতায় ধুকে ধুকে চলছে স্থানীয় ভূমি অফিসের কার্যক্রম। যে কারণে অফিসটির কাজ-কর্মে চরম ধীর গতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ সেবা গ্রহীতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসিল্যান্ডের পদটি খালি থাকায় অনেক ফাইল আটকে আছে। ভূমি সংক্রান্ত বহু মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
এরমধ্যে অফিসটিতে জমা পড়ে আছে প্রচুর জমির নামজারি, জমা খারিজের আবেদন।এগুলোতে এসিল্যান্ডের স্বাক্ষর না হওয়ায় আবেদনকারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা যায়, দাগনভূঞার এসিল্যান্ড মেহরাজ শারবীন চলতি বছরের ৩১ মার্চ বদলি হয়ে যাওয়ার পর থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। তারপর থেকে এ অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।নিয়মিত কাজের পাশাপাশি তিনি দেখছেন ওই অফিসের কাজ।
কিন্তু তা যৎসামান্য ছাড়া কিছুতেই পর্যাপ্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।এতে করে ভূমি সংক্রান্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।
সেবা দিতে আসা কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান,দাগনভূঞায় কমবেশি জমিজমা কেনা বেচা হয় । কিন্তু উপজেলায় এসিল্যান্ড না থাকায় জমি বিক্রির জন্য এ কার্যালয়ে একাধিকবার এসেও কাজ হচ্ছে না। কবে কাজ হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি হয়রানিও হচ্ছেন তারা।
উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের বেকেরবাজার এলাকার আবদুর রহিম জানান,আমি দুই মাসের বেশি হবে জমা খারিজের জন্য দিয়েছি কিন্তু এসিল্যান্ড না থাকায় আমাদের ভীষণ ভোগান্তি হচ্ছে।অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বলে সময় লাগবে অপেক্ষা করেন।
তাই ফেনী জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় অবিলম্বে এসিল্যান্ড নিয়োগের দাবি জানান তিনিসহ অন্যান্য সেবাপ্রার্থীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান,খুব শীঘ্রই দাগনভূঞায় এসিল্যান্ড পদায়ন হবে।তখন সেবা পেতে সাধারণ মানুষের আর কোনো সমস্যা হবে না।
বিআরইউ