হেলমেট নাই তো তেল নাই, দিনাজপুরে পুলিশের কড়াকড়ি!

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৪, ১১:০৭ এএম
হেলমেট নাই তো তেল নাই, দিনাজপুরে পুলিশের কড়াকড়ি!

দিনাজপুরে হেলমেট পরিধান ব্যতীত পাম্পগুলো থেকে মিলছে না মোটরসাইকেলের জ্বালানি তেল। হঠাৎ করেই এই বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে জেলা পুলিশ। শুধু দিনাজপুর শহর নয়! এমন চিত্র দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায়।

জেলার সব কয়টি তেলের পাম্পে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে “হেলমেট নাই তো তেল নাই” স্লোগান সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত ১৬ মে থেকে এই নীতি বাস্তবায়নে পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ সহ জেলার ১৩টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঠে নেমেছেন।

পুলিশ বলছে, সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, তাদের অধিকাংশ হেলমেট না পড়ার কারণে নিহত হয়েছেন।

সে কারণে শতভাগ হেলমেমট পরিধান নিশ্চিত করতে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনায় মাঠে নেমেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।

শনিবার সকালে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার তিনটি তেলের পাম্প ঘুরে দেখা যায়, পাম্পের একাধিক স্থানে “নো হেলমেট, নো ফুয়েল” এবং “হেলমেট নাই তো তেল নাই” স্লোগান সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে রাখা আছে। হেলমেট ব্যতিত কোন মোটরসাইকেল চালক পাম্পে তেল নিতে আসলে তাদেরকে তেল দিচ্ছেন না পাম্পের কর্মচারী।

সাধনা ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা পাওয়া যায় ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদের। হেলমেট ব্যতীত তেল না দেওয়ার নীতি পাম্প কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছে কিনা! তা তদারকি করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এছাড়াও জেলার একাধিক থানা এবং সার্কেলের দাপ্তরিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সচেতনতামূলক একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায় সড়ক দিয়ে যাবার সময় একজন মোটরসাইকেল চালক মোড় ঘুরতে গিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে ধাক্কা খেয়ে বাসের চাকার নিচে তার মাথা চলে যায়। তবে হেলমেট থাকার কারণে তার তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। প্রাণে বেঁচে গেছেন মোটরসাইকেল চালক।

ঘোড়াঘাট উপজেলার খন্দকার বদরে আরেফিন ফিলিং স্টেশনের মালিক সেলিম আখতার জানান, ঘোড়াঘাট থানার ওসি নিজে এসে এই ব্যানার টাঙিয়ে দিয়ে গেছেন। সেই সাথে হেলমেট ছাড়া কেও তেল নিতে আসলে, তাকে তেল না দিতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আমরা পুলিশের নির্দেশনা মেনে কাজ করছি।

ঘোড়াঘাট থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, হেলমেট ছাড়া যদি পাম্প থেকে তেল না পায়, তবে বাধ্য হয়েই মোটরসাইকেল চালকরা হেলমেট পড়বে। এতে করে শতভাগ হেলমেট পরিধান নিশ্চিত করা যাবে। ফলে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা অনেকাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। “হেলমেট নাই তো তেল নাই” নীতি বাস্তবায়নে আমাদের পুলিশ সুপার স্যার সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন।

বিআরইউ