নাটোর পৌরসভার ডাস্টবিনগুলো নিয়মিতভাবে পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির উপদ্রবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী।
একদিকে ডাস্টবিনের পাশ দিয়ে হাঁটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দুর্গন্ধে পাশে থাকা বাসাবাড়িতে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
পৌরবাসীরা অভিযোগ করেন, একসময় নিয়মিতভাবে ময়লা পরিষ্কার করা হলেও বর্তমানে সাত দিন পার হলেও ময়লা অপসারণ করা হয় না। অথচ নাগরিকরা নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সুফল পাচ্ছেন না।
নাটোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফৌজদারি পাড়ার বাসিন্দা আরিফুর রহমান ও তপন কুমার জানান, পুকুরপাড়ের ডাস্টবিনটি আগে দুই দিন পরপর পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু এখন এক সপ্তাহেও পরিষ্কার করা হয় না, ফলে সেখানে ময়লার স্তুপ জমে ভাগারে পরিণত হয়েছে। পৌরসভায় একাধিকবার অভিযোগ দিলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চকরামপুর এলাকার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন ও গৃহিণী শাহানা পারভীন বলেন, ডাস্টবিনের ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশা-মাছির উৎপাত বেড়েছে। পাশ দিয়ে চলাচল করতে গেলে তীব্র দুর্গন্ধে অস্বস্তি হয়। ডাস্টবিনের পাশে অবস্থিত বাড়িগুলোতে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে নাটোর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হক বলেন, “পৌরসভার চারটি ময়লা বহনের ট্রাকের মধ্যে একটি নষ্ট, আরেকটি গত ১০ দিন ধরে গ্যারেজে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেরামতের জন্য রয়েছে। বাকি দুটি ট্রাক ও কিছু ভুটভুটি দিয়ে ময়লা অপসারণ করা হচ্ছে। ট্রাক মেরামতের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য পৃথক ময়লা ব্যবস্থাপনা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”
ইএইচ