জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ তাজিরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে বৈষম্যমুক্ত, ইনসাফভিত্তিক ও সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্ন আজো পূর্ণ হয়নি।
শনিবার বিকেলে ফেনী শহরের দারুল ইসলাম ভবনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ফেনী জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “শেখ মুজিব দশ মিনিটে সংসদে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন।”
মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের জেলা সভাপতি এএসএম নুর নবী দুলালের সভাপতিত্বে ও মাওলানা আবদুল মালেক ও মোহাম্মদ ইউসুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ঢাকা মহানগর (উত্তর) এর সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মিয়া এবং ফেনী জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান।
জেলা শাখার উপদেষ্টা একেএম শামছুদ্দিন, অধ্যাপক আবু ইউসুফ, মাওলানা আবদুর রহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী ইসমাইল, মো. রফিকুল ইসলাম, মাহবুবুল হক এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের জেলা সেক্রেটারী মো. ইদ্রিস আলীও বক্তব্য রাখেন।
তাজিরুল ইসলাম বলেন, “৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে এখনও কেউ কেউ ইসলামের নাম ও চিহ্ন মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। ইসলামী রীতি-নীতি, তাহজীব-তমাদ্দুন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে টার্গেট করে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করা অতীতের সরকারগুলোর একটি রুটিন কাজ ছিল।”
তিনি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে তাদের দেয়া দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
আগামী ২১ জুন ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার জন্য সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
ইএইচ