যশোরের অভয়নগরে কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলামকে (৫০) গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের একটি বাড়িতে তরিকুলকে হত্যা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঘেরের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। তিনি নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন।
শনিবার সকালে নিহত তরিকুল ইসলামের বাড়িতে বিএনপির নেতারা গিয়ে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এরপর তাঁরা হত্যাস্থল ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে যান।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের বিল বোকড়ে তরিকুল ইসলামের একটি মাছের ঘের ছিল। ওই ঘেরের জমির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। পাশের বিল কাছুরাবাদে অন্য একজনের মাছের ঘের ছিল। বিল কাছুরাবাদের অধিকাংশ জমি ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের বাসিন্দাদের। ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ঘের ছেড়ে দেওয়া হয়। তরিকুল ইসলাম ওই জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আরেক ব্যক্তি একই জমি ইজারা নিতে চেয়েছিলেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় তরিকুলকে পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছয়জন সন্ত্রাসী গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, “আমার ভাই মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন। তার তিনটি ঘের ছিল। তিনি ডহর মশিয়াহাটী এলাকায় একজন ঘেরমালিকের ছেড়ে দেওয়া ঘের ইজারা নিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে আরেক ব্যক্তির সঙ্গে বিরোধ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে পিন্টু বিশ্বাস আমাকে ফোন করে বলেছিল, ঘেরের ডিড হবে, তাই তরিকুলকে বাড়িতে যেতে বলেছেন। বিকেলে তরিকুল একজনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে পিন্টুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখন ছয়জন সন্ত্রাসী সেখানে গিয়ে তাঁকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।”
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীম শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, “তরিকুল ইসলামের হত্যা মামলা এখনো দায়ের হয়নি। এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।”
ইএইচ