সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে অবৈধভাবে প্রবেশ করে হরিণ শিকারের অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে বন বিভাগ। পরে মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাস মণ্ডল তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আটক দুজন হলেন—বাগেরহাটের মোংলার চাঁদপাই এলাকার সুলতান খানের ছেলে মামুন (৩৩) ও আক্কাস শেখের ছেলে আব্দুর রহিম (২১)।
বন বিভাগের কোকিলমনি টহল ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদিক মাহমুদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৬ মে) সকালে কোকিলমনি টহলফাড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য এলাকায় কাকড়া ধরতে গিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন মামুন ও রহিম। তাদের ব্যবহৃত দুটি নৌকায় অভিযান চালিয়ে ৪০ কেজি কাকড়া, ২১টি চারু (কাঁকড়া ধরার ফাঁদ), সোলার প্যানেল উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলের পাশে একটি গাছে ঝুলানো অবস্থায় পাওয়া যায় একটি হরিণের চামড়া ও তিনটি শিংসহ হরিণের মাথা। বন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, শিকার করা হরিণের মাংস ইতোমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘হরিণের মাংস পঁচে গেছে, তবে চামড়া ও মাথা জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, গত ১৫ দিনে বন বিভাগের অভিযানে ১০০ কেজি হরিণ শিকারের ফাঁদ ও ৫২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে।
হরিণ শিকার প্রতিরোধে বন বিভাগ নতুন উদ্যোগও নিয়েছে। বনজীবীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ‘ফাঁদ ধরিয়ে দিন, পুরস্কার নিন’ কর্মসূচির আওতায় ফাঁদ শনাক্তে সহায়তা করলে প্রতিটি ফাঁদের জন্য ২ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
ডিএফও রেজাউল করিম বলেন, সুন্দরবন ও এর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আমাদের অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
বিআরইউ