মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার এক বাংলাদেশি নাগরিক। নিহতের নাম নাসির উদ্দীন (৪৬)। তিনি উপজেলার শ্যামকুড় পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৭ মে ভোরে মহেশপুর সীমান্তের ‘চেয়ারম্যান ঘাট’ এলাকায় গেলে নাসির ও তার সঙ্গীদের লক্ষ্য করে ভারতের পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ছররা গুলি ছোড়ে। এতে নাসির উদ্দীন পেটে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর তিনি গোপনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। দীর্ঘ ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে তিনি মারা যান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওইদিন নাসিরের সঙ্গে ছিলেন একই উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের বর্ডার রিপন ও অনন্তপুর গ্রামের সোহাগ। তারা দু’জনও আহত হন, তবে পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

নিহতের চাচা ও শ্যামকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহানুর রহমান বলেন, ‘নাসির মারা গেছে, এটা সত্য। তবে কীভাবে মারা গেছে, তা স্পষ্ট নয়।’ জুমার নামাজের পর তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।

মহেশপুর থানার গ্রাম পুলিশ ফেরদৌস খান জানান, পরিবার বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করছে না। তবে স্থানীয়দের অনেকে জানান, সীমান্তে গুলিতে আহত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে জেনেছি। খোঁজ নিচ্ছি।’

৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, খবর পাওয়ার পর বিজিবি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার বিএসএফ গুলির বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ করেনি।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে একই উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আরও দুই বাংলাদেশি—ওয়াসিম ও ওবাইদুর—বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। তাদের মরদেহ এখনো দেশে ফেরেনি। বিজিবি জানিয়েছে, বিএসএফ মরদেহ দুটি ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করায় ফেরত আনতে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

বিআরইউ