কুষ্টিয়ার শংকরদিয়া গ্রামে সন্ত্রাসীদের দাপটে জনজীবন আতঙ্কিত। ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, মারধর ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে প্রায় অর্ধশত মানুষ গ্রাম ছেড়েছে বলে জানা গেছে।
সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের এই গ্রামে গত ৫ আগস্ট থেকে শুরু হয় সহিংসতা। রাতের আঁধারে দোকান ও বাড়িঘরে হামলা, দিনের বেলায় প্রকাশ্যে মারধর ও চাঁদাবাজি এখন যেন নিয়মিত ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সহিংসতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে একটি চিহ্নিত দুর্বৃত্তচক্র। তাদের মধ্যে রয়েছে মোশারেফ হোসেন মশা, আহাদ আলী, আমিরুল, চান্দু, আরশাদ আলী, শরীফুল, সিরাজুল, আজিজুল ওরফে ঘবা, গোপাল, বিপুল, শামসুল ও মোজামসহ অন্তত এক ডজন ব্যক্তি। এর মধ্যে মশা, আহাদ ও আমিরুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, তবে তাতেও থামছে না সহিংসতা।
স্থানীয়রা জানান, গত মার্চে আখতারুজ্জামান, আনিসুর রহমান, রেজাউল ইসলাম গামা, আখতারুজ্জামান বৈরমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ১১ মে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মাহবুবুল মেম্বারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। একই দিনে ভাঙচুর হয় আখতারুজ্জামান বৈরমের বাড়ি, আইয়ুব ও শামীমের দোকান।
১৬ মে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় হামলার শিকার হন মন্টু মাস্টার, সাইদুল, তক্কেল, রবজেল, ওল্টু ও আলম ফকির। দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মিন্টু রহমানের দোকানেও চলে তাণ্ডব। অনেক দোকানি চাঁদা দিয়ে দোকান খুলতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই পর্যন্ত ইবি থানায় তিনটি মামলা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ—এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। স্থানীয়দের মতে, পুলিশ রহস্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
বিআরইউ