যশোর-খুলনা মহাসড়ক

বৃষ্টি হলে কাদা রোদে ‘ধুলোর ঝড়’, মহাসড়কে চরম ভোগান্তি

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম
বৃষ্টি হলে কাদা রোদে ‘ধুলোর ঝড়’, মহাসড়কে চরম ভোগান্তি

বৃষ্টি হলে কাদা, রোদে ধুলোর ঝড়—এ যেন যশোর-খুলনা মহাসড়কের নিত্যচিত্র। নামেমাত্র পাকা এ সড়কের গর্তে জমে পানি, তার ওপর ট্রাক-ট্রলিতে বহন করা মাটি ও বালি পড়ে বৃষ্টির সঙ্গে মিশে হয় দুর্গম কাদা। চলাচলে ভোগান্তি তো আছেই, সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন অংশে মহাসড়কের এই করুণ চিত্র এখন নিয়মিত। প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ আর যানবাহনের চালকরা এই সড়কে পড়ছেন বিপাকে।

স্থানীয় কৃষ্ণপদ শীল নামের এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, বৃষ্টি হলে কাদা, রোদ হলে ধুলায় কিছুই দেখা যায় না। ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। দুই দিন আগে এক বন্ধুসহ আমরা মোটরসাইকেলসহ পড়ে গিয়ে আহত হই।

খুলনা টু রাজবাড়ী এ্যানি পরিবহনের চালক রমজান আলী বলেন, বছর জুড়েই এই রাস্তায় চলাচল করতে দুভোর্গ পোহাতে হয়। ধুলায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। বর্ষা হলেই চলাচল করতে দুর্ভোগ বাড়ে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।’ এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, মহাসড়ক ঘেঁষা ইটভাটা ও বালু ব্যবসায়ীরা লাইসেন্সবিহীন ট্রলি, ট্রাক্টর, ডাম্পার দিয়ে নিয়মিত মাটি ও বালি বহন করেন। এসব যানবাহন থেকে পড়ে যাওয়া মাটি ও বালু রাস্তায় জমে গিয়ে রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ করে তুলছে।

সড়কের পাশে থাকা দোকানদার ও সাধারণ মানুষজন বলছেন, রাস্তার এই বেহাল অবস্থায় ব্যবসা মার খাচ্ছে। বৃষ্টির সময় দোকানে কাদা ঢুকে পড়ে, রোদে ধুলায় ঢাকা পড়ে সব পণ্য। ফুটপাত ধরে হাঁটাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। দুর্ঘটনা কমাতে এবং মহাসড়ক নিয়ন্ত্রণে আইনি ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।’

এলাকাবাসীর দাবি, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান ছাড়া মহাসড়ক হয়ে উঠবে আরও ঝুঁকিপূর্ণ। তারা দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়ক সংস্কার এবং অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ চান।

বিআরইউ