চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার ও সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সহযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ দল-মত নির্বিশেষে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার আগে মরহুমের মরদেহে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নয়ন কুমার রাজবংশী এবং জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল।
জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ মরহুমের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানান।
জানাজা শেষে সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনকে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন সংলগ্ন জান্নাতুল মাওলা জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রবীণ এই রাজনীতিক ও মুক্তিযোদ্ধা শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুর পর রাতেই তাঁর মরদেহ চুয়াডাঙ্গায় নিজ বাসভবনে আনা হয়।
২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে তিনি সপরিবারে আত্মগোপনে ছিলেন। তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধে অবদান এবং শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা মানুষের হৃদয়ে তাকে অমর করে রাখবে।
তবে জানাজাকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা ও প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। অনেক মামলাভুক্ত ব্যক্তি ও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের পরিচিত মুখদের উপস্থিতি জনমনে প্রশ্ন তুলেছে বলে স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
ইএইচ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
