চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে সাফিদ আহম্মেদ শাম্মু (১৯) নামের এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার ভোরে নিজ শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
সাফিদ আহম্মেদ শাম্মু মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা আব্দুল হান্নান একজন এনজিওকর্মী এবং মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
পারিবারিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শাম্মু একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য পরিবারের কাছে আবদার করে আসছিলেন। শনিবার রাতে এ নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। পরে রাতে এক বন্ধুকে ফোনে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দেন শাম্মু। ওই বন্ধু বিষয়টি এক প্রতিবেশীকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে শাম্মুর পরিবারকে অবহিত করেন।
ভোরে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবলু সরকার বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক অভিমানের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন শাম্মু। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, “মোটরসাইকেল না পাওয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক অভিমান থেকেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
এ ঘটনায় পরিবারে গভীর শোক ও বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি এলাকাজুড়েও শোকের আবহ বিরাজ করছে।
ইএইচ