সন্দ্বীপে বর্ণিল আয়োজনে ফল মেলা উদ্বোধন

ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
সন্দ্বীপে বর্ণিল আয়োজনে ফল মেলা উদ্বোধন

“কৃষিই সমৃদ্ধি, দেশি ফল বেশি খাই, আসুন দেশি ফলের গাছ লাগাই”—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণিল ফল উৎসব-২০২৫। 

শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

মধুমাস উপলক্ষে আয়োজিত এই উৎসবে প্রায় ৫০ প্রজাতির দেশীয় ফল প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, বেল, পেঁপে, জলপাই, কামরাঙা ও চালতা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফল মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিগ্যান চাকমা।

তিনি বলেন, “দেশীয় ফল আমাদের পুষ্টির অন্যতম উৎস। শিশুদের শারীরিক বিকাশ ও সবার স্বাস্থ্য রক্ষায় দেশীয় ফলের বিকল্প নেই। ফলের প্রতি আগ্রহ গড়ে তুলতে এ ধরনের উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফ হাসান। তিনি বলেন, “আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়া দেশীয় ফল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আজকের এই উৎসবে আমরা শুধু ফল প্রদর্শনই করিনি, বরং কৃষকদের দেশীয় ফল চাষে উৎসাহিত করাও আমাদের লক্ষ্য।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সুজন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হক, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দেবাশীষ দাশ, খাদ্য কর্মকর্তা মাইফুল ইসলাম এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

ফল উৎসব ঘিরে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ছিল ব্যাপক উৎসাহ ও অংশগ্রহণ। শিক্ষার্থী, কৃষক, শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ উৎসব উপভোগ করতে আসেন। তারা বিভিন্ন দেশীয় ফলের স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি ফল চাষ ও পরিচর্যা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয়ভাবে দেশীয় ফল উৎপাদনে অবদানের জন্য কয়েকজন কৃষককে সম্মাননা স্বরূপ সনদ ও ফলজ গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়। পাশাপাশি উপস্থিত দর্শনার্থীদের মাঝেও ফলজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়, যাতে তারা বাড়ির আঙিনায় ফল গাছ লাগাতে উৎসাহিত হন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আগামী বছর ফল উৎসব আরও বড় পরিসরে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। একইসাথে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফলভিত্তিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এমন আয়োজনের মাধ্যমে দেশীয় ফলের চাষ ও ভোগ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা।

ইএইচ