খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের সীমান্তসংলগ্ন ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরা রাজ্যে মো. হানিফ মিয়া (৪০) নামে এক বাংলাদেশি গ্রাম পুলিশের সদস্যের হাত-পা বাঁধা মরদেহ পাওয়া গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
তিনি তবলছড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বং পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
পরদিন শুক্রবার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, তাতে ‘হাত-পা বাঁধা অবস্থায়’ পড়ে থাকা মরদেহটি দেখে পরিবারের সদস্যরা হানিফ মিয়াকে শনাক্ত করেন বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর আলম।
হানিফের স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে ভাত খেতে বসার সময় একটি ফোনকল পেয়ে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান।
যাওয়ার আগে তিনি জানান, বেলালসহ দু’জন তাকে ডেকেছে। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। আমি আমার স্বামীর মরদেহ ফেরত চাই এবং এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।”
তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. ওসমান আলী জানান, “বৃহস্পতিবার রাত থেকে হানিফ নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত এলাকায় পড়ে থাকা এক মরদেহের ভিডিও দেখে তার স্ত্রী পারভীন মরদেহটি শনাক্ত করেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, শর্ট প্যান্ট পরা এবং হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি পড়ে রয়েছে।”
মাটিরাঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে, হানিফসহ পাঁচ ব্যক্তি ভারতের সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করলে বিএসএফ ধাওয়া দেয়। চারজন পালিয়ে এলেও হানিফ বিএসএফের হাতে আটক হন। পরে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে তার ছেলে ও শ্যালক মরদেহটি শনাক্ত করেন এবং বিষয়টি পুলিশকে জানান।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “হানিফ মিয়া তবলছড়ি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্য ছিলেন। ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটি এখনো ভারতের সীমান্তের ওপারে অবস্থান করছে।”
এ বিষয়ে যামিনীপাড়া ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মাসুম রানা বলেন, “ভারতের সীমান্তে একটি মরদেহ পড়ে থাকার খবর আমরা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ বিজিবিকে লিখিত বা মৌখিকভাবে কিছু জানায়নি। বিএসএফের তরফ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পাওয়া যায়নি।”
ইএইচ