টাঙ্গাইলের নাগরপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে মডেল মসজিদ নির্মাণ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। ধর্মপ্রাণ নাগরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী কলেজ প্রাঙ্গণেই মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা।
গত ২৮ জুন রাতের আঁধারে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তরটি ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও ধর্মপ্রাণ জনতার মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকেই এটিকে একটি পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন।
এর আগে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে জনমনে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সকাল ১১টায় নাগরপুর সরকারি কলেজ গেইট সংলগ্ন এলাকায় তৌহিদি জনতার ব্যানারে একটি বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন শত শত ধর্মপ্রাণ মানুষ, বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাগরপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা গোলাম, নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস নুরুজ্জামান রানা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. বাবুল মেহেদী, আ. রাজ্জাক, শামীম আহমেদ, লাভলু মিয়া, মনসুর মিয়া, সমাজকর্মী মীর মুশফিক শৈবাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণেই মডেল মসজিদ নির্মাণ হোক—এটি আমাদের ঈমানি দাবি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো অপপ্রচার বা নাশকতা বরদাশত করা হবে না। যারা এই ঘৃণ্য কাজ করেছে, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তারা আরও বলেন, “এই মসজিদ কেবল একটি স্থাপনা নয়, এটি আমাদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতীক। আমরা একই জায়গায় নতুন করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও দ্রুত নির্মাণকাজ শুরুর জোর দাবি জানাচ্ছি।”
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সংগঠনের নেতারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, মসজিদ নির্মাণে যারা বাধা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে নাগরপুরবাসীর ধর্মীয় আবেগকে সম্মান জানিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণেই দ্রুত মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না এলেও, স্থানীয় সচেতন মহল আশা প্রকাশ করেছেন—প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে নাগরপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
ইএইচ