অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “ব্যাংকিং খাতে সংস্কার সময়সাপেক্ষ, এটা আমরা পারব না—নির্বাচিত সরকারকেই করতে হবে।”
শনিবার (৫ জুলাই) সকালে সরকারি সফরে প্রথমবারের মতো নিজ জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি দেশের ব্যাংকিং খাতের সংকট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অনেকে দেশের টাকা-পয়সা নিয়ে বিদেশে চলে গেছেন, এমন ঘটনা পৃথিবীর কোথাও হয় না। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫২ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে, এর আগে দেওয়া হয়েছে ২২ হাজার কোটি। আমরা চেষ্টা করছি, কিন্তু এটা কোনও স্থায়ী সমাধান নয়।
সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, সঞ্চয়পত্রের হার বাড়িয়ে দিলে সবাই সঞ্চয়পত্র কিনবে, তখন কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না। ব্যাংকগুলোর লিকুইডিটির (তারল্য) একটা সীমা আছে। তাই আমাদের ভারসাম্য করে চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের অর্থ ফেরত দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সময় লাগতে পারে, কিন্তু কারও টাকা মেরে যাবে না।
ব্যাংক পুনর্বাসনের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলো পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক একটি বড় উদাহরণ। প্রাইভেট সেক্টরের এই বড় ব্যাংকে এখন আস্থা ফিরেছে।
তিনি জানান, ‘ব্যাংক রেজ্যুলেশন অ্যাক্ট’ নামে নতুন একটি আইন করা হয়েছে। এর প্রথম শর্ত হলো—গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
উপদেষ্টা আরও জানান, নবীনগর থেকে আড়াইহাজার হয়ে ঢাকার সঙ্গে যে সড়ক যোগাযোগ হবে, তার নবীনগর অংশের কাজ শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে।
দুপুরে নবীনগর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। সভা শেষে নিজ গ্রামের বাড়ি দড়ি শ্রীরামপুরে যান এবং পরবর্তীতে ঢাকার উদ্দেশ্যে নবীনগর ত্যাগ করেন।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নবীনগর ইউএনও রাজীব চৌধুরীসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিআরইউ