এখনও বিক্রি হয়নি কোরবানির চামড়া, অনাগ্রহ ট্যানারিগুলোর

কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
এখনও বিক্রি হয়নি কোরবানির চামড়া, অনাগ্রহ ট্যানারিগুলোর

ঢাকার ট্যানারি মালিকদের আগ্রহের অভাবে কোরবানির পশুর চামড়া বিপণনে দেখা দিয়েছে চরম সংকট। নেত্রকোনার কলমাকান্দাসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলার মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোতে শত শত চামড়া অবিক্রিত পড়ে আছে।

কলমাকান্দা উপজেলার জামিয়া দীনিয়া মারকাজ মাদ্রাসা এবার কোরবানির ৬০০টি চামড়া সংগ্রহ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ট্যানারি কিনতে আগ্রহ দেখায়নি। লবণ দিয়ে এগুলো অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

মাদ্রাসার মোহতামিম মুফতি শফিকুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিবছর এই চামড়ার টাকায় ছাত্রদের খাবার, হোস্টেল মেরামতসহ নানা ব্যয় চালাই। এবার বিক্রি করতে না পারায় কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছি। বেশি দিন সংরক্ষণও সম্ভব না।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্যানারি মালিকদের সংগঠিত অনীহা এবং বাজারে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে প্রতি বছরই একই সংকট দেখা যায়। চামড়ার দাম সরকারি ভাবে নির্ধারিত থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকর হয় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সংকটের মূল কারণ ট্যানারিগুলোর সীমিত সংরক্ষণ ক্ষমতা, রপ্তানির জটিলতা, কেন্দ্রীয় সিন্ডিকেটের চাপ এবং আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থার অভাব। সাভারের অনেক ট্যানারিতে এখনো পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন ব্যবস্থা চালু হয়নি।

ফলে অতিরিক্ত চামড়া নিতে তারা আগ্রহী নয়। এর ফলে মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোর অর্থায়ন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। অনেক জায়গায় চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সচেতন মহল বলছে, চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিত এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে সরকারকে স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত সংগ্রহ কেন্দ্র চালু করতে হবে। একইসঙ্গে ট্যানারি মালিকদের জন্য বাধ্যতামূলক চাহিদা তালিকা প্রণয়নের দাবি উঠেছে।

বিআরইউ