যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের মজুতখালী নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে—এমন শঙ্কায় তিন গ্রামের শত শত মানুষ দিন কাটাচ্ছেন তীব্র আতঙ্কে। বাঁধ ভেঙে গেলে প্লাবিত হতে পারে দিঘলীয়ারাবাদ, জয়ারাবাদ ও রামনগর গ্রামের বসতবাড়ি, মাছের ঘের ও ফসলি জমি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভৈরব নদের ত্রিমোহনী থেকে বয়ে আসা মজুতখালী নদীর পাড়ঘেঁষে বহু বছর আগে নির্মিত বাঁধটি এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানির চাপে বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। তবে এবার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। দিঘলীয়ারাবাদ গ্রামে বাঁধ ভেঙে গেলে মুহূর্তেই গ্রামে পানি ঢুকে পড়বে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়বে শত শত পরিবার।
বাঁধ রক্ষায় গ্রামবাসীরা নিজেরা বাঁশ, কাটা ও মাটি ফেলে অস্থায়ীভাবে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, শুধু সাময়িক সংস্কার নয়, বরং স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং নদীভাঙন রোধে কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ জরুরি।
দিঘলীয়ারাবাদ গ্রামের গৃহবধূ রুনু বেগম বলেন, "পানির স্রোত বাড়ছে, বাঁধ ভেঙে গেলে ঘরবাড়ি নিয়ে কোথায় যাব? ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।"
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, "ফসলের জমি, মাছের ঘের সব ভেসে যাবে। কয়েক বছর ধরে বলছি, কেউ শুনছে না।"
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, "দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় বিপর্যয় হবে। ঘরবাড়ি, ঘের, ক্ষেত সব পানির নিচে চলে যাবে।"
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল বলেন, "বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।"
ইএইচ