ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাড়ে চার বছরেও ইনডোর স্বাস্থ্যসেবা চালু হয়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় রোগীরা।
ইনডোর চালু না থাকায় অধিকাংশ রোগীকেই ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হলে ফরিদপুর জেলা শহরের হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যক্রম শুরু করলেও এখনো চালু হয়নি ইনডোর সেবা। যন্ত্রপাতি থাকলেও জনবল সংকটের কারণে ইনডোর ইউনিট চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অনেকেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনডোর চালু করতে হলে শিশু ও গাইনী কনসালটেন্ট, সার্জিক্যাল চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট জনবল নিয়োগ জরুরি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এখানে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চারজন মেডিকেল অফিসার কর্মরত রয়েছেন। তবে কোনো কনসালটেন্ট পদের সৃষ্টি হয়নি। ২৫টি অনুমোদিত নার্স পদের মধ্যে ২১ জন কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু ইনডোর ইউনিট চালুর জন্য প্রয়োজনীয় আয়া, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ওয়ার্ডবয় নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা ও রোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইনডোর চালু না হওয়ায় নানাবিধ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। দ্রুত ইনডোর কার্যক্রম চালু করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় সমাজসেবক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ বলেন, "উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা না থাকায় সালথাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে ইনডোর সেবা চালু করা হোক।"
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, "৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে জনবল সংকট রয়েছে। ইনডোর স্বাস্থ্যসেবা চালুর জন্য আরও অনেক জনবল প্রয়োজন। আমরা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছি। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ রোগীকে আউটডোরে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এক্স-রে এবং অন্যান্য স্বাভাবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও এনসিডি কর্নারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের চিকিৎসা এবং বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।"
তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "যথাযথ জনবল নিয়োগ ও অবকাঠামোগত সহায়তা পেলে শিগগিরই ইনডোর স্বাস্থ্যসেবা চালু করা সম্ভব হবে।"
ইএইচ