নরসিংদীকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ জেলা হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান। সদা হাস্যোজ্জ্বল, সৎ ও নিষ্ঠাবান এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট নরসিংদীর পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি মাদক, সন্ত্রাস, অবৈধ অস্ত্র, জঙ্গিবাদ, রাহাজানি ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি নিরাপদ নরসিংদী গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মাত্র ১১ মাসের মধ্যেই তিনি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি জেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছেন।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, “সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মতো আমিও ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যত বড়ই হোক না কেন।”
তিনি আরও বলেন, “নরসিংদীকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, কিশোর গ্যাং ও গডফাদারমুক্ত রাখতে প্রতিটি থানায় একাধিক টিম কাজ করছে।”
নরসিংদীর ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, জেলার বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় ভালো। পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে জনবান্ধব পুলিশিং প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে।
জেলার কোথাও না কোথাও প্রতিদিন উদ্ধার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। গ্রেফতার করা হচ্ছে মাদক বিক্রেতা, পাচারকারী ও সেবনকারীদের। সাতটি থানার অফিসার ইনচার্জদের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তিনি ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছেন।
পুলিশি হয়রানি হ্রাস, সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা, যা ২৪ ঘণ্টা মনিটর করছেন পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন ইউনিট।
৫ আগস্টের পর জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন অবনতির দিকে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই পুলিশ বিভাগে রদবদলের অংশ হিসেবে দায়িত্ব নেন মেধাবী, দক্ষ ও সাহসী এই পুলিশ কর্মকর্তা। তার নেতৃত্বেই পুনরায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে নরসিংদী জেলা পুলিশ, ফিরে এসেছে জনগণের আস্থা ও নিরাপত্তাবোধ।
পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, “মানুষের সেবা করতেই আমি পুলিশে যোগ দিয়েছি। মহান সৃষ্টিকর্তা যতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন, ততদিন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। নরসিংদী জেলাকে একটি সম্পূর্ণ অপরাধমুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমি সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।”
ইএইচ