পার্বত্য রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদের বহুমাত্রিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
শুক্রবার বিকেলে রাঙামাটির বার্গি লেইক ভ্যালি থেকে শুভলং ঝর্ণা, শুভলং বাজার হয়ে স্পিডবোটে রাঙামাটি শহরের স্টেডিয়াম ঘাট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য ও অবকাঠামো ঘুরে দেখেন দুই উপদেষ্টা।
সফরে তাঁদের সহধর্মিণী, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্য হলো পাহাড় ও কাপ্তাই লেক। এই লেক পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কাপ্তাই হ্রদকে আধুনিক ও মৎস্য চাষ উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তীরবর্তী জনগণ এই সম্পদের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল, তা অতীত। এখন সময় কাপ্তাই লেকের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর। এটি আমাদের কাছে স্বর্ণের মতো মূল্যবান সম্পদ, যা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রীতির বন্ধনে পাহাড়ি-বাঙালি একসঙ্গে আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গঠনের পথে এগিয়ে চলেছে।”
সুপ্রদীপ চাকমা জানান, বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সকল দরজা উন্মুক্ত করেছে। তবে পাহাড়ি জনগণ এখনো কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে, যা দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে।
“আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না, দেশের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই,” — বলেন তিনি।
ইএইচ