চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বাল্যবিয়ের হাত থেকে নিজেকে রক্ষায় সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। পারিবারিক চাপের মুখে বিয়ের প্রস্তুতি চলাকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত দরখাস্ত দিয়ে বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে রুহি আক্তার (১৩) নামের ওই শিক্ষার্থী।
রুহি ফরিদগঞ্জ উপজেলার কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি উপজেলার কড়ৈতলী গ্রামের গাজী বাড়িতে। পিতা প্রবাসী আব্দুর রশিদ এবং মাতা গৃহিণী সুমি বেগম।
মঙ্গলবার রুহি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পংকজ শর্মার হাতে দরখাস্তটি তুলে দেয়।
দরখাস্তে সে উল্লেখ করে, তার জন্ম ২০১২ সালের ১৮ জুন। সে এখনো পড়াশোনায় নিয়োজিত এবং নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়েতে সম্মত নয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পংকজ শর্মা বলেন, “দরখাস্ত পাওয়ার পরই বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি।”
রুহির মা সুমি বেগম বলেন, “পারিবারিকভাবে পাত্র দেখা হয়েছিল, তবে এখনো বিয়ের দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। আর যদি ভুল করে কিছু করি, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতেই পারে।”
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “বিষয়টি আমাদের জানা আছে। বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকেন, আমরা প্রশাসনিক সহায়তা দিয়ে থাকি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, “এই বয়সে এমন সাহসিকতা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমরা মেয়েটির পাশে আছি এবং যেকোনো মূল্যে তার বিয়ে ঠেকানো হবে।”
ইএইচ