পাবনায় শহীদ জাহিদ ও নিলয় হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ

সফিক ইসলাম, পাবনা জেলা প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
পাবনায় শহীদ জাহিদ ও নিলয় হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে একটি বিভীষিকাময় দিন ছিল ৪ আগস্ট ২০২৪। ওই দিন পাবনা শহরে ছাত্রদের একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষে গুলি চালানো হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটে যাওয়া ওই হামলায় প্রাণ হারান পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহিদ হোসেন এবং ছিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র নিলয় হোসেন। এ ঘটনায় আহত হন আরও শতাধিক আন্দোলনকারী।

সোমবার পাবনা জেলা সদরে শহীদ জাহিদ ও নিলয়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের আব্দুল হামিদ রোড থেকে শুরু হয়ে পুলিশ লাইন গেটে গিয়ে সমাবেশে পরিণত হয়।

সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাবনার এক প্রান্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা অবস্থান নেয় এবং অপরপ্রান্তে অবস্থান করেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আন্দোলনকারীরা ছিলেন নিরস্ত্র, কিন্তু সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত ছিলেন। ঘটনার এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ খানের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সরাসরি ছাত্রদের সমাবেশে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থী প্রাণ হারান।

ঘটনার পর দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। পাবনা সদর থানায় দুটি মামলা এবং ঈশ্বরদী ও চাটমোহর থানা থেকে আরও দুটি মামলা করা হয়, মোট চারটি মামলা। এর মধ্যে একটি মামলায় ১০৩ জন এবং আরেকটিতে ৬৩ জনকে আসামি করা হয়। 

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান এবং সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।

তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়নি। এতে হতাশ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শহীদ দুই পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ সুপার মো. মোরতাজ আলী খান সাংবাদিকদের জানান, চারটি মামলার অগ্রগতি হয়েছে এবং শিগগিরই চার্জশিট দেওয়া হবে। গুলিতে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোর বৈধতা যাচাই করা হয়েছে, যা সবই লাইসেন্সধারী। অস্ত্রগুলো জব্দ করে ব্যালেস্টিক পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়েছে।

ইএইচ