শেবাচিমে ডায়াগনস্টিক ল্যাবের স্টাফ ও দালাল দেখলেই আটক করার নির্দেশ

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
শেবাচিমে ডায়াগনস্টিক ল্যাবের স্টাফ ও দালাল দেখলেই আটক করার নির্দেশ

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) রোগীসেবা, পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দালাল, প্রতারক ও বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার পরিচালকের কার্যালয়ে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ ও দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

সভা শেষে পরিচালকসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকরা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিট ঘুরে দেখেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর। 

উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন বাবলু, এনেসথেসিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাফিকুল ইসলাম, সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আহসান হাবিবসহ অন্যান্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা।

সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— মেডিসিন ভবনে অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকায় পুরাতন ভবনে বিভাগ সম্প্রসারণ করা হবে। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতাল এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোগী দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে নতুন নিয়ম চালু করা হবে। 

ওয়ার্ড বা ইউনিট অপরিচ্ছন্ন থাকলে সংশ্লিষ্ট পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বেতন কর্তনের নীতিও চালু করা হয়েছে। 

বাহিরের ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো প্রতিনিধি বা রোগীর দালালকে হাসপাতালে পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।

এই নির্দেশনার আলোকে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) পুলিশ ও আনসার বাহিনী অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ভবন থেকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী পরিচয়ধারী তপু সিকদারকে আটক করে থানায় পাঠায়। তবে পরে তিনি মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান বলে জানা গেছে।

ইএইচ