আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০৪:২০ পিএম
আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম সিকদারের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন। পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে আগামী ২৪ নভেম্বর দিন রেখেছেন আদালত।

বাদীর আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আসামিকে আদালতে হাজির করার জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ৭ সেপ্টেম্বর আবদুল্লাহ আল মামুন নামে এক ব্যক্তি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম সিকদারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন।

বাদীর আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আসামিকে আদালতে হাজির করার জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ৭ সেপ্টেম্বর আবদুল্লাহ আল মামুন নামে এক ব্যক্তি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম সিকদারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করা হয় চেক ডিজঅনারের জন্য, অপরটি করা হয় অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করার পরেও তাকে মোটরবাইক সরবরাহ না করায়।

ওইদিনই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

মামলার নথি অনুযায়ী, বাদী ২০২১ সালের ৫ ও ৭ জুন ই-কমার্স সাইট থেকে তিনটি মোটরবাইক অর্ডার করেন এবং সাইটে দেওয়া মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করেন। কিন্তু আলেশা মার্ট তাকে বাইক সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে তারা তাকে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ৪ লাখ ২৩ হাজার টাকার দুটি চেক দেয়।

বাদী ২০২২ সালের ২০ জুন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ইব্রাহিমপুর শাখায় চেকটি নগদায়নের চেষ্টা করলে দুটি চেকই বাউন্স হয়ে যায়। পরে ১৭ জুলাই তিনি অভিযুক্তকে আইনি নোটিশ পাঠান এবং অবশেষে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করেন।

অন্য মামলার নথি অনুসারে, আবেদনকারী ২০২১ সালের ২৪ জুন আলেশা মার্ট থেকে তিনটি মোটরবাইক অর্ডার করেছিলেন, কিন্তু তারা তাকে নির্দিষ্ট সময়ে বাইক সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

পরে আলেশা মার্ট বাদীকে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ৩ লাখ ৫২ হাজার টাকার চেক দেয়। তিনি এ বছরের ২৮ জুলাই চেকটি নগদায়নের চেষ্টা করলে সেটি বাউন্স হয়ে যায়।

৩ সেপ্টেম্বর আসামিকে তিনি আইনি নোটিশ পাঠান এবং অবশেষে মামলা করেন।

 

ইএফ