এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দুর্নীতিতে বিপাকে অধস্তন কর্মকর্তা  

নিজস্ব প্রতিবেদক  প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দুর্নীতিতে বিপাকে অধস্তন কর্মকর্তা  

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল ও তার পর্ষদের দুর্নীতিতে ফেঁসে যাচ্ছেন তাদের অধস্থন কর্মকর্তারাও। 

জানা গেছে, তমালসহ বেশ কয়েজনের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে বিপাকে পড়েছেন ব্যাংকটির অধনস্ত কর্মকর্তারা।

২০২২ সালের মে-জুন মাসে এনআরবিসি ব্যাংকে পারভেজ তমাল চক্রের নানা অনিয়ম ও বহুমুখী দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক লুটপাটের অভিযোগের তদন্তে নেমে সত্যতা পায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিভিশন। ব্যাংকটির বিভিন্ন সেক্টরে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমানিত হওয়ায় চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, আদনানসহ পরিচালনা পরিষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। 

শুধু তাই নয়, আদালত থেকে তমাল আদনানের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়। 

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তাদের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়ায় এখন বিপাকে পড়ছেন ব্যাংকটির অধস্থন কর্মকর্তারা। এরমধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেনও একজন। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই অধনস্তদের কাজ করতে হয়। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশেই কাজ করতে হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ইচ্ছার বিরুদ্ধেও বেআইনি কাজ করতে হয়। কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও চাকরির স্বার্থে তারা এসব এ কাজ করতে বাধ্য হন। যখনই কোনো সমস্যা হয়, তখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নিরপরাধ কর্মকর্তারাও ফেঁসে যান। পরে উর্ধ্বতনরা নানা কৌশলে পার পেয়ে গেলেও বিপাকে পড়েন অধনস্থরা। তবে দুর্নীতি তদন্তকারী সংস্থাগুরো সঠিকভাবে যাছাই-বাছাই করলেই রাঘব বোয়ালরাই ধরা পড়বেন। রেহাই মিলবে অধস্থন নিরীহ কর্মকর্তাদের এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। 

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেলোয়ার হোসেন ব্যাংকে থাকাকালীন সুনামের সাথে কাজ করেছেন। কর্ম সাফল্যের জন্য বহু পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ৩৪ বছর বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যাংকে চাকরি করেছেন। সিটি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং এনআরবিসি ব্যাংকে তার বর্নাঢ্য ক্যারিয়ার রয়েছে। তিনি ১৫ বছরের অধিককাল শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ব্যবস্থাপনার প্রতিটি বছর ব্যাংক সফলতার জন্য বহু ক্রেস্ট, প্রশংসাপত্র পেয়েছে। শিল্পখাতে ও বাংলাদেশের রপ্তানিতে তার ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শত শত নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছেন। রপ্তানিখাতে রেখেছেন বড় অবদান। 

জানতে চাইলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন বলেন, কিছু অসাধু লোক আমার বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। সততার সাথে কাজ করতে গিয়ে কতিপয় অসাধু পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের চক্ষুশুল হয়েছেন দাবি তার।

আরএস