বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বিদ্যালয় ও কলেজ চান উপাচার্য সৌমিত্র শেখর

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২২, ০১:৩৪ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বিদ্যালয় ও কলেজ চান উপাচার্য সৌমিত্র শেখর

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্য মোঃ আবদুল হামিদের হাতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনাগ্রন্থ 'বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে নজরুল' তুলে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। 

গ্রন্থটি হাতে পেয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ নিয়ে আসার সমস্ত ঘটনা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন।

প্রাসঙ্গিক আলোচনার এক পর্যায়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর উল্লেখ করেন, সেশনজট কারো কারো ছাত্রজীবন যেচ্ছায় প্রলম্বিত করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা অনেক সময় স্থবির হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই সংকট অত্যন্ত উদ্বেগজনক। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে একটি স্কুল ও কলেজকে সংযুক্ত না করে দেয়ার কারণে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যুক্ত অধিকাংশ তরুণ শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা ক্যাম্পাসে ও আশেপাশে অবস্থান করছেন না। তারা তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার স্বার্থে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আশেপাশে বা ক্যাম্পাসে আবাসিক অবস্থান করার বদলে কাছাকাছি অবস্থিত কোনো শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিবেশগতভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আর ক্যাম্পাসে অবস্থিত হলসমূহের ছাত্র-ছাত্রীরাও তাদের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটা উন্নত শিক্ষাপরিবেশ গড়ার মোটেও সহায়ক নয়।

উপাচার্য সৌমিত্র শেখর তাই মহামান্য রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, যাতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে অবশ্যই আধুনিক মানের বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। 

গত রোববার (১৯ জুন) বঙ্গভবনে বাইশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে ছাত্র ভর্তির গুচ্ছ পরীক্ষা বিষয়ক এক মতবিনিময় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় বৈঠকে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ গুচ্ছ পদ্ধতিতে ছাত্র ভর্তি করার কারণে ছাত্রসমাজের সুবিধা হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, সমধারার অন্যান্য বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছ ভূক্ত হলে তা সবার জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন প্রমূখ।  

কেএস