মাধ্যমিকে আবারও ‘মিড ডে মিল’ চালুর সিদ্ধান্ত

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০১:০৮ পিএম
মাধ্যমিকে আবারও ‘মিড ডে মিল’ চালুর সিদ্ধান্ত

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবারও ‘মিড ডে মিল’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির বিদ্যালয় শাখাকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, তৈরিকৃত প্রস্তাবনাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে দ্রুত সময়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সারাদেশে সর্বমোট সাত হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘মিড ডে মিল’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাউশি।

এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোতে মনিটরিং জোরদার ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করা কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি মাউশির মাসিক সমন্বয় সভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবারও মিড ডে মিল চালুর প্রস্তাব আসে। সেই প্রস্তাবে উপস্থিত সব কর্মকর্তারা সম্মতি দেন। সভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর জন্য মাধ্যমিক শাখাকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

সমন্বয় সভায় আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিলেটের অগ্রগামী স্কুলে মিড ডে মিল উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত ৭ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিড মে মিল চালু ছিল। ২০১৮ সালে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ প্রোগ্রাম চালুর কথা উল্লেখ রয়েছে। এ কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে মাউশির বিদ্যালয় শাখার পরিচালককে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে মহাপরিচালকের কাছে দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।


এছাড়া এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আরও বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো যায় কি না সেটিও বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন,  মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক বেলাল হোসাইন। তিনি বলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের সাত হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু ছিল। এ কার্যক্রম সিলেট থেকে শুরু করা হয়। করোনার কারণে সেটি গত তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এ কার্যক্রম আবারও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা মাঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা তৈরি করবো। সেখানো আরও বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো যায় কি না সেটিও বিবেচনা করা হবে।

আরএস