গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম বর্ষ ভর্তিতে শিক্ষার্থী সংকটসহ নানা জটিলতার কারণে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে না যাওয়ার কথা ভাবছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসলে আগের মত নিজস্ব ভর্তি ব্যবস্থাপনায় ফিরবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গুচ্ছ পদ্ধতির বিরুদ্ধে সদস্যরা এ বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।
১১টি মেধাতালিকা দিয়েও কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শিক্ষক সমিতির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হলেও গুচ্ছের বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চুরান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছুদের সুবিধার চেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বেশি। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিলো তা সফল হয়নি। গতকাল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাবো। ভোগান্তি নয় বরং সুশৃঙ্খল ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হোক এটাই আমাদের চাওয়া।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় গত বছরের মত এবছরও বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার্থী সংকটে পড়তে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। এসব বিষয়গুলো বিবেচনা করে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার মত দিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। যত দ্রুত সম্ভব আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত চিঠির মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাবো।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের নিয়েই তো বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে এককভাবে কোন সিন্ধান্ত নেওয়া হবে না। সর্ব সম্মতিক্রমেই সিন্ধান্ত হবে। শিক্ষক সমিতির নেওয়া সিন্ধান্তের ব্যাপারে এখনো লিখিত কিছু পাই নি।
এআরএস