সাংবাদিক শামসু্জ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি চায় ‍‍`ঢাকসাস ‍‍`

ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ০৮:১৮ পিএম
সাংবাদিক শামসু্জ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি চায় ‍‍`ঢাকসাস ‍‍`

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি চায় ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতি (ঢাকসাস)।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি চায় ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতি (ঢাকসাস)। পাশাপাশি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের উপরে দায়ের করা মামলাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর সকল মামলা প্রত্যাহার ও এই আইন বাতিলের দাবিও জানায় সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি এ জেড ভূঁইয়া আনাস এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।

ঢাকসাস নেতারা বিবৃতিতে বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি দেশে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের হেনস্তা ও হয়রানির ঘটনা বেড়েই চলছে। সর্বশেষ সংবাদপত্র প্রকাশের জেরে বুধবার ভোর রাতে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে আইনশৃঙ্খলা পরিচয়ে নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে, যা স্বাধীন গণমাধ্যমের ও মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়। শামসুজ্জামানকে নিঃশর্ত মুক্তি চায় এই দুই নেতা।

এর আগে ২৬ মার্চ প্রথম আলোর অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‍‍`কার্ড‍‍` তৈরী করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতি হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে একটি শিশুর ছবি দেওয়া হয়। পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিট পর অসংগতি নজরে আসে এবং তা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনির বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের। কিন্তু ইস্যুটিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে প্রতিবেদনের প্রতিবেদক শামসুজ্জামান ও প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এমনকি শামসুজ্জামানকে রাতে বাড়ি থেকে তুলে এনে ৩০ ঘন্টারও বেশি গুম করে রাখা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলার পর বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠান।

আরএস