ইবি ক্যাম্পাস

বন্ধের দুদিন আগেই হল বন্ধ, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩, ১২:৪২ পিএম
বন্ধের দুদিন আগেই হল বন্ধ, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ইদ-উল-আজহা উপলক্ষে ২৪ জুন থেকে ৫ জুলাই সকল একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

তবে একাডেমিক ছুটি ২৪ তারিখ থেকে শুরু হলেও সোমবার (১৯ জুন) প্রভোস্ট কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২ জুন সকাল ১০টার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতো দ্রুত হল বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন হাজারো শিক্ষার্থী। অনেকে ছুটি ২৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়ায় অগ্রিম টিকেট করে রাখায় বিপাকে পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আবার  ছুটির সময় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও আবাসিক হল সমুহ চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স পড়ুয়া চাকরি প্রত্যাশী ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা সুরভি বলেন, আমাদের পরীক্ষা আছে বুধবার। বুধবার পরীক্ষা দিয়ে বৃহস্পতিবার এতো বড় জার্নি করা খুব কষ্টকর এছাড়া পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতিরও বিষয় থেকে যায়। এমন হটকারী সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায়না।

মাসুম নামে মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, চাকরি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১ দিন মানেই ১০ দিনের সমান। হল বন্ধের ফলে এত আগেই বাসায় যাওয়ার গেলে পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হয়। জরুরী ও মেডিকেল সেবা সর্বদা চালু রাখা গেলে, হল সমূহ সারা বছর চালু রাখতে কোনো সমস্যা দেখি না। আমি সবসময় হল খোলা রাখার দাবী জানাই।

রিপন কুমার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ২৪ জুন থেকে ছুটি শুরু হলে ২২ জুন কেন হল বন্ধ ঘোষণা করা হবে? আমরা যারা ২৪ তারিখে টিকিট কেটেছি তারা এখন কোথায় থাকবো ? দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় সারা বছর হল খোলা থাকে সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কোন যৌক্তিকতায় হল বন্ধ করে দেয়া হয় তা আমি বুঝি না। আমরা যাদের দূরদূরান্তে বাসা তাদের জন্য এইভাবে হল বন্ধের কারণে বারবার বাসায় যাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সেবা ব্যতীত সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৮ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম পুরোদমে চলবে।

এবিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ২২ তারিখে সকাল ১০টায় হল বন্ধ হবে ৭ তারিখে ১০টায় খুলবে। যেহেতু আমরা ২২ তারিখ থেকে বন্ধ পাচ্ছি তাই সেদিন থেকেই হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, যাদের সমস্যা আছে বা যেসব শিক্ষার্থী আগেই টিকিট কেটে রেখেছিল বা যারা যেতে পারবে না, তারা প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি বরাবর আবেদন করলে হলে থাকার অনুমতি পেতে পারে। তাদের টিকিটের যেদিন ডেট, তারা সেদিন যাবে।

ছুটির সময় হল খোলা রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেডিশন অনুযায়ী ঈদের সময় আমাদের হল সমূহ বন্ধ রাখা হয়। শিক্ষার্থীরা যদি এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে চায়, তাহলে আমরা অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবো।

এইচআর