ফিলিস্তিনে আগ্রাসন বন্ধে দক্ষিণ এশিয়ার ২০ ছাত্র সংগঠনের যৌথ বিবৃতি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০৭:৪১ পিএম
ফিলিস্তিনে আগ্রাসন বন্ধে দক্ষিণ এশিয়ার ২০ ছাত্র সংগঠনের যৌথ বিবৃতি

রক্ত পিপাসু ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার ৫টি দেশের ২০ ছাত্র সংগঠন যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। রবিবার (১২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে নেতারা ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গাজার মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।  ২০ সংগঠনের মধ্যে বাংলাদেশের ৬টি, ভারতের ৫টি, পাকিস্তানের ৩টি, নেপালের তিনটি, শ্রীলংকার ৩টি।  সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (বিসিএফ), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (বিএসইউ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (এসএসএফ), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল (ডিএসসি), বিপ্লবী ছাত্র ঐক্য (আরএসইউ), পাহাড়ি ছাত্র কাউন্সিল (পিসিপি), অল ইন্ডিয়ান গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন (এআইডিএসও), অল ইন্ডিয়ান ছাত্র সংস্থা (এআইসিএ), অল ইন্ডিয়ান ছাত্র ফেডারেশন (এআইএসএফ), প্রগ্রেসিভ ছাত্র ইউনিয়ন(পিএসইউ), ছাত্র ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (এসএফআই), অল নেপাল ন্যাশনাল ফ্রি ছাত্র ইউনিয়ন, অল নেপাল ন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছাত্র ইউনিয়ন (সিক্সথ), অল নেপাল ন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছাত্র ইউনিয়ন (বিপ্লবী), ডেমোক্রেটিক ছাত্র ফেডারেশন (ডিএসএফ), খালক ছাত্র ফেডারেশন, জাতীয় ছাত্র ফেডারেশন পাকিস্তান  (এনএসএসপি), ইন্টার ইউনিভার্সিটি বিক্কুস ফেডারেশন (আইইউবিএফ), ইন্টার ইউনিভার্সিটি ছাত্র ফেডারেশন (আইইউএসএফ), বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ( আরএসইউ)।

বিবৃতিতে ছাত্র নেতারা বলেন, কট্টর ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা চালিয়ে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। যাদের অধিকাংশই হলো নারী ও শিশু। গাজার তথ্য সংগ্রহকারী সাংবাদিকরাও তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ইসরাইল গাজার লাখ লাখ মানুষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাদের খাবার, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি বন্ধ করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনে এটা যুদ্ধাপরাধের শামিল। প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের বাড়ি, হসপিটাল, শরনার্থী ক্যাম্প,  স্কুল ও অ্যাম্বুলেন্সে বোম মারা হচ্ছে। নেতানিয়াহুর নেতৃতাধীন ইহুদী দেশটি ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানোর ইচ্ছেও ব্যক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইসরাইলের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।  দেশগুলো ইসরাইলকে অর্থ ও যুদ্ধাস্ত্র দিয়েও সাহায্য করছে। জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনেও ইসরাইলের আন্তজার্তিক আইন লংঘন করার বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

বিবৃতিতে গাজাকে উম্মুক্ত কারাগার উল্লেখ করে নেতারা আরো বলেন, পশ্চিমাদের সমর্থনে ইসরাইল দশকে পর দশক ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। গাজাকে বর্তমানে উম্মুক্ত বিশ্ব কারাগার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে তারা  অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকার কথা জানিয়ে বিবৃতি আরো বলেন, এই সংগঠনগুলো ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে রয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ ইসরাইলের নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিশ্বের শান্তি কামী মানুষদের এখনি আধিপত্যবাদী, শান্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা সকল দেশের সরকার প্রধানদের রেসিস্ট ইসরাইলি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

আমরা দক্ষিণ এশিয়ার ছাত্ররা চাই, অতি সত্ত্বর ইসরাইলের বোমা হামলা বন্ধ হোক। গাজায় ইসরাইলি অবরোধ উঠিয়ে নেয়া হোক। গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানো হোক। সকল রাষ্ট্র প্রধান ও মিডিয়াকে গণহত্যাকারীদের সমর্থন বন্ধ করার আহ্বান জানান তারা।

সর্বশেষ, ফিলিস্তিনি মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাক। নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসুক। স্বাধীনভাবে বসবাসের সুযোগ পাক।

এআরএস