ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (বুধবার) রাজধানীর আফতাবনগর খেলার মাঠে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন।

সমাবর্তনে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট ২৮৬১ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেয়া হয়। এছাড়া অনন্য মেধাবী চারজন শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় স্বর্ণ পদক। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উচ্চ শিক্ষার গুণগতমান অব্যাহত রাখায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ধন্যবাদ জানান। 

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন জার্মানির কিউন লজিস্টিকস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যালান ম্যাককিনন। তিনি সমাবর্তনে দেয়া বক্তব্যে সাপ্লাই চেইনের বিষয়ভিত্তিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। একইসাথে এই বিষয়ে নবীন গ্র্যাজুয়েটদের সম্ভাবনাময় কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করেন। 

অধ্যাপক ম্যাককিনন জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চলমান ঝুঁকির সামনের সারিতে থাকা বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলোর পরিবেশকেন্দ্রিক সমস্যা ও সংকট মোকাবেলার জন্যে সাপ্লাই চেইন বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা রাখে এমন যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা উচিত বলে মত দেন। সেইসাথে তিনি গ্র্যাজুয়েটদের উৎসাহিত করেন তারা যেন অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিশ্বের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।

আরো বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান।

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী নতুন গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে একজন ব্যক্তির সুন্দর কর্মজীবন নির্ভর করে তার সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, সমালোচনামূলক চিন্তার যোগ্যতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিসরের উপর। পাশাপাশি, ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে নিজের জ্ঞান ও দক্ষতার ব্যবহারের তাগিদ দেন তিনি।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন তাঁর বক্তব্যে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে সরকারের প্রতি এমফিল এবং পিএইচডি গবেষণার সুযোগ প্রদানের দাবি জানান। তিনি বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে বিশ্বমানের শিক্ষক; যাদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশী পিএইচডি ডিগ্রিধারী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার বিষয়টি সুবিবেচনায় রাখবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান বলেন, আমরা শিক্ষা ও গবেষণার মধ্যে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছি: আধুনিক শিক্ষাক্রম চালু করার মাধ্যমে আমরা এখন সময়োপযোগী গ্র্যাজুয়েট পাচ্ছি। দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গঠনমূলক অবদান রাখতে তিনি নতুন গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান করেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যগণ, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্র্যাজুয়েট ও তাঁদের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনের শেষে যথাসময়ে সনদ হাতে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিআরইউ