বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি না থাকার ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন। সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ কথা বলেন। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি না থাকার ব্যাপারে আমরা ঐক্যবদ্ধ। যে ছাত্র রাজনীতি ক্যাম্পাসে র্যাগিং কালচার তৈরি করে। যার বলি হতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এটা আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনেনি এবং আনবেও না। এর চরমতম দৃষ্টান্ত হলো বুয়েটের সাবিকুন্নাহার সনি ও আবরার ফাহাদ। ছাত্র রাজনীতি বিহীন বুয়েটের পরিবেশ ছিলো নিরাপদ ও শিক্ষার্থী বান্ধব। মৌলবাদী শক্তিকেও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে পারি।
আদালতের প্রতি আস্থার কথা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখি। বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে আসলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা লঙ্ঘন হয়। ৭ অক্টোবর আবরার ফাইয়াজকে হত্যার পর ৯ অক্টোবর গনভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেক গুলো প্রতিষ্ঠানেই তো ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ আছে। বুয়েটে যদি মনে করে ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। তাহলে সেখানে রাজনীতি থাকবে না। এরপর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বুয়েট প্রশাসন সকল প্রকার রাজনীতি ক্যাম্পাস থেকে নিষিদ্ধ করে।
শিক্ষকদের পাশে চেয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান শিক্ষকরা আমাদের অভিভাবক। আমরা তাদের নিকট থেকে কখনোই এমনটা অনুভব করিনি যে তারা চান ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি থাকুক। তারা সবসময় আমাদের সঙ্গেই ছিলেন। আমরা আমাদের সকল শিক্ষকদের নিকট আর্জি জানাচ্ছি, তারা যেন এমন সংকটের সময় আমাদের পাশে থাকেন। আমরা ভিসি স্যারের উপর আস্থা রাখি। তিনি সব সময় আমাদের পক্ষেই ছিলেন। গত তিনদিনও তিনি আমাদের সাথে দেখা করে গিয়েছেন। সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসের যে আকাক্সক্ষা সেটি যেন তারা পূরণ করেন।
আরএস