কুবি শিক্ষকদের উপর উপাচার্যপন্থি বহিরাগতদের হামলা

কুবি প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
কুবি শিক্ষকদের উপর উপাচার্যপন্থি বহিরাগতদের হামলা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পূর্বঘোষিত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানকালে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী পরিচয়দানকারী বেশ কয়েকজন বহিরাগত এই হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক শিক্ষক নেতারা উপাচার্য আবদুল মঈনের অপসারণ চেয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা পূর্ব ঘোষিত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছিলাম। তখন উপাচার্য এসে আমাকে ধাক্কা দেন। পাশাপাশি আমার সহকর্মী সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষকদের ঘুষি মেরে, সন্ত্রাসী কায়দায় ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁর সাথে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা, অছাত্র, ফৌজদারি মামলার আসামি তারাও শিক্ষকদের উপর হামলা করে।

গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাংলোতে উপাচার্যের সাথে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা, অছাত্রদের সাথে মিটিং করেন। সিসিটিভি ফুটেজ তার প্রমাণ আছে। এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এখন সাত দফার পাশাপাশি এখন আমাদের প্রধান দাবি উপাচার্যের অপসারণ।

উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরসহ সাবেক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন মামলার আসামি কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর হামলার জেরে তাৎক্ষণিক উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপাচার্য এএফএম আব্দুল মঈন এবং কোষাধ্যক্ষ ও তাঁর পন্থি শিক্ষকরা, প্রক্টর, সাবেক শিক্ষার্থী, বিভিন্ন মামলার আসামি ও বহিরাগতদের নিয়ে জোরপূর্বক প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এর আগে বহিরাগত ও উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা তালা ভাঙার পর উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন মামলার আসামি ও বহিরাগতরা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন। শিক্ষকরা বাঁধা দিলে দুই দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা হয়।

এ বিষয়ে হামলায় শিকার হওয়ার লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস লতা বলেন, উপাচার্যের উপস্থিতিতে কেন বহিরাগত ও অছাত্ররা শিক্ষকদের উপর আঘাত করবে, এটা কোথাকার কালচার? এখানে সুষ্ঠুভাবে চাকরি করতে এসেছি, মার খাওয়ার জন্য আসি নাই। আজকের হামলায় আমিসহ আমার বেশ কয়েকজন সহকর্মী আঘাত পেয়েছেন।  

এসময় বহিরাগত ও শিক্ষকদের সাথে দফায় দফায় বেশ কয়েকবারই হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে।

বিআরইউ