ক্যাম্পাসে কুবি উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা ঝুলালো শিক্ষক সমিতি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
ক্যাম্পাসে কুবি উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা ঝুলালো শিক্ষক সমিতি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে পদত্যাগ দাবি করছেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও গোল চত্বরের পাশে ডাস্টবিনের ওপর এ কুশপুত্তলিকা ঝুলানো হয়।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর ও প্রধান ফটকের সামন এ চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুশপুত্তলিকার মাথার অংশে রয়েছে উপাচার্যের ছবি। তার মাথায় একটি শিং রয়েছে। কুশপুত্তলিকার হাত দুইটি প্রসারিত রয়েছে। বুকের মাঝে ব্যানার ঝুলানো সেখানে দেখা যায় ভিসি কনুই দিয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষককে মারছেন।

এছাড়াও উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে পদত্যাগ করা শিক্ষকদের পদত্যাগপত্রের ছবিসহ ব্যানার ঝুলিয়েছেন তারা।

এছাড়াও গত পাঁচ দিন ধরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

শিক্ষক সমিতির সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই উপাচার্য আসার পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি একটা আমদানিকৃত ‘পঁচা মাল’। একজন উপাচার্য হয়ে তিনি মিথ্যাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আজকে আমরা ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে ডাস্টবিনের উপর তার কুশপুত্তলিকা স্থাপন করেছি। তার নির্দিষ্ট জায়গায় সে স্থান পেয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। সর্বশেষ ২৮ তারিখ শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করেছেন। এনিয়েও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। আজকে তিনি ক্যাম্পাসে না এসেও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সম্মানী গ্রহণ করছেন। এর প্রতিবাদে আমরা তার কুশপুত্তলিকা স্থাপন করেছি।

‘অভিনব’ এই প্রতিবাদের বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, সারা বিশ্বে প্রতিবাদের অনেক রকমের ভাষা রয়েছে এটি তারমধ্যে একটি। আমি শিক্ষক সমিতির সকল দাবি দাওয়ার পক্ষে একমত। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এধরনের প্রতিবাদ উচিত নাকি অনুচিত সে বিষয়ে কিছু বলতে চাইনা।

এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে উপাচার্য আবদুল মঈনকে কয়েকবার কল দিলেও পাওয়া যায়নি।

ইএইচ