শোবিজ তারকাদের অবরোধ বিরোধী মানববন্ধন

বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৩:৫৭ পিএম
শোবিজ তারকাদের অবরোধ বিরোধী মানববন্ধন

পদ্মাসেতু মেট্রোরেল শেখ হাসিনার দোষ হলে আমরা সেই দোষীর পক্ষেই আছি
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর লাগাতার হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের শিল্পীসমাজ।

আজ (শনিবার) দুপুরে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে মানুষের ভোগান্তি এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে অভিনেতা- অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পীসহ সকল পর্যায়ের শিল্পীরা এই মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা  স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষা, দেশবিরোধীদের চক্রান্ত রুখে দিতে, দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, অবরোধে জনগণের জীবনমানের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে নির্মাতা গুলজার আহমেদ বলেন, বিএনপি বলে তারা না কি জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে, অথচ তারা দিন আনে দিন খায় এমন শ্রমিকদের বাসে আগুন দেয়। সাধারণ মানুষকে হত্যা করে, মেরে পঙ্গু করে দেয়। আসছে শীতকালে গরিব কৃষকরা গ্রাম থেকে শহরে শাক-সবজি পাঠাবে, যার ফলে তাদের আর্থিক সচ্ছলতা আসবে কিন্তু এই অবরোধের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। বিএনপি জনগণের জান-মাল ধ্বংস করে মানুষের পেটে লাথি মেরে কিভাবে আন্দোলন করে?

তিনি বলেন, বিএনপি বিদেশিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নেই কাজ করছে। তারা এ দেশের স্বার্থ নষ্ট করে বিদেশিদের হাতে দেশকে তুলে দিতে চায়। এরাই মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বিরুদ্ধে ছিল আর এখন তারা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে এসে দেশকে নিয়ে তামাশা করছে, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে। তাই তাদের রুখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তারা যেন কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

অভিনেত্রী শম্পা রেজা বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে কর্মঠ ও যোগ্য করে তুলছেন। অন্যদিকে কিছু মানুষ কিছু টাকার বিনিময়ে দেশটাকে নষ্ট করার পায়তারা করছে। আমরা তাদের ভয় পাই না। আমি মনে করি তাদেরকে কারো ভয় পাওয়া উচিতও না। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যেটা পারেনি সেটা কিছু টাকা লোভী মানুষ নষ্ট করতে পারবে না। তারা এই দেশের খেয়ে-পড়ে দেশকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে। আমরা একসাথে থেকে তাদেরকে এই ভাংচুর ও সহিংসতার রাজনীতি করতে দেবো না।

চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমার বাচ্চারা আজকে শনিবার বন্ধের দিনেও পরীক্ষা দিচ্ছে। এই অবরোধের কারণে তারা সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে অনলাইন ক্লাস করছে। বাচ্চারা যখন অবরোধের এই বিষয়গুলো জানতে চায় আমরা উত্তর দিতে পারি না। তারা ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে। আজকের শিক্ষার্থীরা হরতাল-অবরোধ চায় না কারণ আজকের শিক্ষার্থীরা স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোষ কী? তিনি পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করেছেন এগুলো? এগুলো তার দোষ হলে আমরা সেই দোষীর পক্ষেই রয়েছি। তাই আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে আবারও জয়ী করতেই আজ সকল শিল্পীসমাজ এখানে দাঁড়িয়েছেন।

চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদ বলেন, আজকে আমাদের টেলিভিশনের পর্দায় অভিনয়ে থাকার কথা থাকলেও আজকে আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। আজকে বিএনপি যেই নৃশংসতা সৃষ্টি করেছে তার বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়িয়েছি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছিল তারাই আজকে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে, পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা করছে, হাসপাতাল,  অ্যাম্বুলেন্সে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করছে। তাদের এই নৃশংসতা দেশদ্রোহীতার শামিল বলে আমরা শিল্পীসমাজ মনে করি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আত্মমর্যাদা ফিরিয়ে দিলেও এই দেশবিরোধী চক্র দেশকে ব্যর্থ করতে পায়তারা করছে।

মানববন্ধনে অন্যদের মাঝে অভিনেত্রী শমী কায়সার, চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহী, অভিনেত্রী নিবা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, অভিনেতা তূষার খান, অভিনেত্রী তারিন জাহান, অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার, ধ্রুব গোহ প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।

আরএস