ডেঙ্গুতে ২০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৬৮৯

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম
ডেঙ্গুতে ২০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৬৮৯

ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এক সপ্তাহে মারা গেছেন ৯৮ জন। দেশে এ পর্যন্ত ৬৯১ জন মারা গেছেন ডেঙ্গুতে। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার ৭১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৬৪ হাজার ১৭২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৬ হাজার ৫৩৯ জন। মৃত ৬৯১ জনের মধ্যে নারী ৪০৩ জন এবং পুরুষ ২৮৮ জন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ১৯৪ জন এবং রাজধানীতে ৪৯৭ জন।

আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৬৮৯ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৯৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৭৯০ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ৬৮৯ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭১১ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ১৫১ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৫৬০ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার ৭১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ৮৭ হাজার ২৪ জন এবং নারী ৫৩ হাজার ৬৮৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৩০৯ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। 

সেপ্টেম্বরের ৭ দিনে শনাক্ত রোগী ১৬ হাজার ৯০৩ জন এবং মারা গেছেন ৯৮ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।

আরএস