উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর অঙ্গীকারে পুতিনের চিঠি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২২, ০১:৪২ পিএম
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর অঙ্গীকারে পুতিনের চিঠি

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রসারিত করার অঙ্গীকার করে কিং জং উনকে চিঠি লিখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই দেশের স্বার্থের জন্য সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজন মনে করেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র বরাতে এখবর জানিয়েছে বিবিসি।

পিয়ংইয়ংয়ের ‘মুক্তি দিবস’-এ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে পাঠানো এক চিঠিতে পুতিন বলেছেন, এ পদক্ষেপ উভয় দেশের স্বার্থের অনুকূল।

পুতিনের চিঠির জবাবে কিমও একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে কিম বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। তাদের ‘সহযোদ্ধাসুলভ বন্ধুত্ব’ আরো শক্তিশালী হবে।  

এরইমধ্যে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, সমর্থন ও সংহতি এক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। এর ফলে শত্রুপক্ষের সামরিক বাহিনীর হুমকি ও উসকানিকে ব্যর্থ হতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন কিম।  
শত্রুপক্ষ কে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেনি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি। তবে সাধারণত শব্দটি যুক্তরাষ্ট্র ও এর জোটকে নির্দেশ করে থাকে।  

রাশিয়ার পূর্বসূরী সোভিয়েত ইউনিয়ন একসময় উত্তর কোরিয়ার এক প্রধান মিত্র ছিল। সোভিয়েত আমলে দেশটি বিপুল অর্থনৈতিক সহযোগিতা পাওয়ার পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক বিনিময় হতো।

কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধের পতনের পর থেকে দুদেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০০ এর দশকের গোড়ার দিকে পাশ্চাত্য মহল থেকে রাশিয়া আবার অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে দুদেশের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে।

জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়া গুটিকয়েক দেশের মধ্যে একটি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব ইউক্রেনের দুই রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। এর আগে রাশিয়া তাদের স্বাধীন বলে ঘোষণা করে ডিক্রি জারি করেছিল। এর জবাবে ইউক্রেন পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সূত্র: বিবিসি


আমারসংবাদ/টিএইচ