পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে ভারতজুড়ে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে দেশটির অন্যতম বৃহৎ দল কংগ্রেস।
তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নামে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
এনডিটিভি জানায়, এরই অংশ হিসেবে রাহুল গান্ধী তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে তার বাবা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেছেন।
কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, টানা পাঁচ মাস ধরে ৩৫০০ কিলোমিটারের বেশি এই পদযাত্রা আসলে নিজের ভাবমূর্তি থেকে ‘পার্ট টাইম’ রাজনীতিকের তকমা ঝেড়ে ফেলার পরীক্ষা।
কারণ পুরোটা না-হলেও বেশিরভাগ রাস্তাই রাহুল নিজে হাঁটবেন বলে কংগ্রেস নেতাদের দাবি। খবর আনন্দবাজার।
রাহুলের ঘোষণা অনুযায়ী, এই যাত্রার উদ্দেশ্য হল বিজেপি-আরএসএসের বিভাজনের নীতির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ, ঐক্যের মতাদর্শ তুলে ধরা।
কিন্তু তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে এই যাত্রা শুরু হলেও অধিকাংশ বিজেপি শাসিত রাজ্যের মধ্যে দিয়েই এই যাত্রা যাবে না। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের গুজরাটেও ঢুকবে না এই যাত্রা। তবে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশকে সামান্য ছুঁয়ে যাবে।
মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র— শুধুমাত্র এই চারটি বিজেপি বা বিজেপি জোট শাসিত রাজ্যেই রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা পৌঁছাবে।
তাতে কি দেশ জুড়ে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি বিরোধী হাওয়া উঠবে? কংগ্রেসের পালে হাওয়া লাগবে? কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, ভারত জোড়ো যাত্রা দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনবে, কংগ্রেসের জন্যও সঞ্জীবনী হয়ে উঠবে।
দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, কন্যাকুমারীতে মহাত্মা গান্ধীমণ্ডপে একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন রাহুল গান্ধী। সেখানে ভারত জোড়ো যাত্রা উদ্বোধনের জন্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন খাদির একটি জাতীয় পতাকা তুলে দেবেন রাহুল গান্ধীর হাতে।
এটি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পদযাত্রা হতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এ পদযাত্রা শুরু হবে।
দিনে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা হেঁটে কংগ্রেসের হাজারো নেতা-কর্মী ১২টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যাত্রা করবেন।
কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পুরো যাত্রাপথেই রাহুল গান্ধীও হেঁটে অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ কর্মসূচি শেষ হতে প্রায় ১৫০ দিন লাগবে।
টিএইচ