পাকিস্তানের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে পানিবাহিত রোগ নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করা পাকিস্তানের সরকারি তথ্যের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন মারা গেছে।
দেশটিতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৫৫১ শিশু ও ৩১৮ জন নারী রয়েছেন।
ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া এবং পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহে তাদের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সিন্ধু প্রদেশে জুলাই থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন শতাধিক মানুষের প্রাণ গেছে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে পানিবাহিত রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে দুই থেকে ছয় মাসের মতো লেগে যেতে পারে।
পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী ও জাতীয় বন্যা মোকাবিলা কেন্দ্রের প্রধান আহসান ইকবাল ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এরই মধ্যে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সরকারের সঙ্গে মেডিক্যাল স্বেচ্ছাসেবকদেরও হাত মেলানোর অনুরোধ করেছেন আহসান ইকবাল।
সিন্ধু সরকার জানিয়েছে, গত ১ জুলাই থেকে বন্যাকবলিত অঞ্চলে স্থাপিত অস্থায়ী হাসপাতালগুলোতে ২৭ লাখের বেশি মানুষকে পানিবাহিত রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুধু গত সোমবার এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭২ হাজার মানুষ।
পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশগুলো থেকেও হাজার হাজার মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সূত্র: আলজাজিরা।
টিএইচ