সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসার নিয়মে পরিবর্তন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২২, ১২:১৪ পিএম
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসার নিয়মে পরিবর্তন

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত প্রবাসী ও বিদেশি পর্যটকদের ভিসার নতুন নিয়মের আওতায় এনে অভিবাসন আইনের বড় সংস্কারের ধারাবাহিকতায় ভিসার নিয়মে কিছু পরিবর্তন এনেছে। 

চলতি বছরের এপ্রিলে আমিরাতের মন্ত্রিসভা নতুন ভিসা নিয়মের প্রস্তাব অনুমোদন করে এবং (৩ অক্টোবর) সোমবার থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিবাসন ও আবাসিক নীতিতে পরিবর্তনের জন্যই নতুন ভিসা নিয়ম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।  

আমিরাত সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল সুলতান ইউসুফ আল নাউমি বলেছেন, এই নতুন ভিসা ব্যবস্থা কেবল বিদেশিদের জন্য ভিসা পদ্ধতি ঝামেলামুক্ত এবং সহজই করবে না, যারা দেশটিতে বসবাস, কাজ চাইছেন, সেই রকম মানুষদেরও সুবিধা দেবে। এটা বিনিয়োগের জন্য আরও ভালো হবে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম গ্রিন ভিসার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ ভিসা পেলে বিদেশিরা পাঁচ বছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকতে পারবেন, এর জন্য তাদের নাগরিকত্ব নেওয়ার এবং নিয়োগকর্তার সমর্থনের প্রয়োজন নেই। ফ্রিল্যান্সার, দক্ষ কর্মী এবং বিনিয়োগকারীরা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

গ্রিন ভিসাধারীরা স্ত্রী বা স্বামী, সন্তান, বাবা-মা, বোন বা ভাইকে সঙ্গে রাখতে পারেন। আর কারও যদি ছেলে সন্তান থাকে, তবে সে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত থাকার সুবিধা পেতে পারেন। 

আগে এই বয়সসীমা ছেলেদের ক্ষেত্রে ছিল ১৮ বছর। একই সঙ্গে, নতুন নিয়মে অবিবাহিত নারী বা প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য কোনো বয়সসীমা রাখা হয়নি। কারও ভিসার মেয়াদ শেষ বা বাতিল হয়ে গেলে তাকে ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া হবে।

গোল্ডেন ভিসায় একবারে ১০ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকতে পারা যায়। বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী বা গবেষক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানীরা গোল্ডেন ভিসা পেতে পারেন।

নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর এখন কোনো গোল্ডেন ভিসাধারী ৬ মাস সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরে থাকলেও তার ভিসা বাতিল হবে না।

আর নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন কেউ যদি ট্যুরিস্ট ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান, তিনি এখন সেখানে দুই মাস থাকতে পারবেন। আগের ৩০ দিনের নিয়ম পরিবর্তন করে এটি ৬০ দিন করা হয়েছে। 

এছাড়াও, একটি নতুন মাল্টি-এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসাও ঘোষণা করা হয়েছে, যা সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেবে।

একই সময়ে, যারা চাকরি খুঁজছেন, তাদের দেওয়া ভিসার জন্য কোনো স্পন্সরের প্রয়োজন হবে না। বিশ্বের ৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনটি দক্ষতা স্তরের মধ্যে যোগ্য হলে তারা চাকরির ভিসা পেতে পারে। 

টিএইচ