দুর্নীতির দায়ে সু চির আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২, ০৩:৪৬ পিএম
দুর্নীতির দায়ে সু চির আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড

মিয়ানমারের একটি সামরিক আদালত অং সান সু চি’কে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এ নিয়ে জান্তার আদালতে তার মোট সাজা হলো ৩৩ বছর। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) তাকে পাঁচ অভিযোগ দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে আদালত। দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।

সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি গোপন আদালত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সু চির বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেছে। আদালতের সেশন চলে খুবই গোপনে। যেখানে সু চিকে হাজির করা হয়। মূলত মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো বা প্রকৃত নেতা থাকাকালীন সরকারের একজন মন্ত্রীর জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া এবং এর ব্যবহার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

সু চিকে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি দেশটির সামরিক সরকারের মুখপাত্র।

সু চির বিরুদ্ধে করা মামলার শেষ রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। সেই অনুযায়ী এজলাসে কারাবন্দি নেত্রীর সাত বছরের কারাদণ্ড দেন মিয়ানমারের আদালত।

এর আগে কয়েকটি মামলার রয়ে মোট ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মিয়ানমারের এই নারী নেত্রীকে। তবে এবার সর্বশেষ রায়ে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো তাকে।

ইতোমধ্যে কোভিড নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন, ওয়াকি টকি আমদানি এবং সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গসহ বেশ কয়েকটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন সু চি। সব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বমোট ১৯০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রচারণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চি তার রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় সামরিক সরকারের অধীনে বন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন।

টিএইচ