ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন : একসঙ্গে ৩ বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৪:১৩ পিএম
ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন :  একসঙ্গে ৩ বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড

ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে দেশটির প্রশাসনের দমননীতি। সোমবার (০৯ জানুয়ারি) একসঙ্গে তিন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। মাহসা আমিনির মৃত্যুর কারণে শুরু হওয়া বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যকে হত্যার দায়ে এই তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

হিজাব বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দু’জনের সাজা স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের মামলা চলছে।

কয়েকদিন আগেই দুই কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী আমিনির মৃত্যুর পর থেকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানে অস্থিরতায় কেঁপে উঠে। নারীদের জন্য ইরানের কঠোর পোষাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আমিনিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়।

বিচার বিভাগ সংক্রান্ত নিউজ পোর্টাল মিজান অনলাইন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সালেহ মিরহাশেমি, মাজিদ কাজেমি এবং সাঈদ ইয়াঘুবিকে ‘মোহারেবেহ’ -- বা ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ করার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

মিজানের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ১৬ নভেম্বর মধ্য প্রদেশ ইসফাহানে তিনজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার জন্য অন্য দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারেন বলেও জানানো হয়েছে। শনিবার, ইরান তেহরানের পশ্চিমে কারাজে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যকে হত্যার জন্য মোহাম্মদ মেহেদি কারামি এবং সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেইনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। অন্য দুই ব্যক্তি, মোহসেন শেখারি এবং মাজিদ্রেজা রাহনাভার্ডকে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর পৃথক হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ডিসেম্বরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

এই মৃত্যুদণ্ড বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং তেহরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্লোগান ভাইরাল হয়েছে, ‘ডেথ টু খামেনেই’। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে নিয়ে এই পোস্টে শোরগোল পড়েছে।

এদিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরোধিতা করে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা থেকে শুরু করে ইরানের সাধারণ মানুষ। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় ইরানের প্রশাসন।
 

সূত্র : এনডিটিভি ও সংবাদ প্রতিদিন

এআরএস