তুরস্কে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম
তুরস্কে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি

ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ ঘোষণা দেন তিনি। খবর আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোরে আঘাত হানা ভূমিকম্পে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে আগামী তিন মাস জরুরি অবস্থা জারি থাকবে বলে এক ঘোষণায় জানিয়েছেন এরদোয়ান।

এ সম্পর্কিত ঘোষণায় এরদোয়ান বলেন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে হওয়া এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা মিলিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে উদ্ধারকাজের স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

প্রসঙ্গত, সোমবার রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্কের শত শত ভবন ধসে পড়েছে। তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়।

সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র। ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের পর অর্ধশতাধিক আফটারশক হয়। এ পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রবল।

বিশেষজ্ঞদের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, টেকটোনিকের ফল্টলাইনে বড় ভাঙনের কারণে ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। তাছাড়া ভূমিকম্পটি ভোরে আঘাত হানে, যখন অনেকেই বাসায় ঘুমিয়ে ছিল।

এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ভূমিকম্প না হওয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিরও ঘাটতি ছিল। ভূমিকম্পে তুরস্কের প্রায় ১০০ কিলোমিটার ফল্ট লাইন ভেঙে গেছে। ফলে ওই লাইনের কাছাকাছি থাকা ভবনগুলো ধসে গেছে, যা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এআরএস