নেতানিয়াহুকে বরখাস্ত করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৩, ০৪:০৬ পিএম
নেতানিয়াহুকে বরখাস্ত করুন

ইসরাইলের এক সাবেক সেনাপ্রধান বলেছেন, তিনি যুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বরখাস্ত করে অন্য একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করার ধারণাটি সমর্থন করেন।

সাবেক সেনাপ্রধান ড্যান হালুটজ আর্মি রেডিওকে বলেন, তিনি ‍‍`যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে‍‍` অন্য কাউকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ‍‍`যুদ্ধে আমরা জবাবদিহিতা দাবি করতে পারি।‍‍` গত বছর থেকে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যন্ত ইসরাইলের অবস্থা নিয়ে নেতানিয়াহুর দায়দায়িত্ব নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, ইসরাইলি কারাগারগুলোতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে গাজায় আটক ইসরাইলি বন্দীদের বিনিময়ের ধারণাকেও তিনি সমর্থন করেন। তিনি বলেন, বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি দেয়া ফিলিস্তিনিদের পরে আটক করা যাবে।

তিনি বলেন, ‍‍`ইসরাইলি সৈন্য গিলাদ শাতিলের বিনিময়ে ১,০২৭ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। ওই হিসাবে ২২০ জন অপহৃতের বিনিময়ে দুই লাখ লোককে মুক্তি দেয়া যেতে পারে।‍‍`

ড্যান হালুটজ ২০০৬ সালে দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধে ইসরাইলের সেনাপ্রধান ছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‍‍`আমি বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে বলছি। আমাদের অবশ্যই তাদেরকে সেখানে পাঠিয়ে দিয়ে পরে তাদের নিয়ে আসব।‍‍`

তিনি ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির আগে স্থল হামলা চালানোর বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে স্থল হামলার অর্থ কী, যখন ইসরাইলি অপহৃতরা সেখানে আছে? হামাস যদি একে মনোস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে ব্যবহার করে, তবে ঈশ্বর না করুন, তাদের অনেকে আহত হবে এবং তাদের অনেকে আর ফিরবে না।‍‍`

উল্লেখ্য, হামাসের হাতে বন্দীদের পরিবারগুলো প্রায় প্রতিদিনই তাদের স্বজনদের মুক্তির জন্য ইসরাইল সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে।

সিরিয়ায় ইরানি অবস্থানে মার্কিন হামলা

সিরিয়ায় ইরানের রিভুলুশনারি গার্ড বাহিনীর ব্যবহৃত স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরালি। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

চলতি সপ্তাহে সিরিয়ায় মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এই আক্রমণ পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ওই হামলার সময় এক মার্কিন ঠিকাদার আশ্রয় গ্রহণ করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং ২১ মার্কিন কর্মকর্তা সামান্য আহত হয়েছিলেন। আহতরা ইতোমধ্যেই তাদের কাজে ফিরে গেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সঙ্ঘাত চায় না এবং বৈরিতা আর বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা পোষণ করে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরান-সমর্থিত বাহিনীর হামলা অগ্রহণযোগ্য এবং তা রুখতেই হবে।

তিনি বলেন, এই হামলা ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান সঙ্ঘাতের সাথে সম্পর্কহীন। ইসরাইল-হামাস সঙ্ঘাতের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তনও নয় এই হামলা। সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য

এইচআর