ইসরায়েল অধিকৃত জেরুজালেমের উপকণ্ঠে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার শুরু হওয়া এই দাবানলকে ঘিরে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ।
ইসরায়েলের জাতীয় উদ্ধার সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (MDA) জানিয়েছে, দেশের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবানলের মুখোমুখি হয়েছে ইসরায়েল। আগুনে শত শত মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সহায়তায় সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
MDA আরও জানায়, তারা এ পর্যন্ত ২২ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে, যাদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করা হয়েছে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা একটি জাতীয় জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি। জীবন রক্ষা ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সব বাহিনীকে একত্রিত করতে হবে।”
টাইমস অব ইসরায়েল–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভয়াবহ তাপপ্রবাহ ও প্রবল বাতাস থেকে এই দাবানলের সূচনা হয়েছে, যার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনাও অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, এশতাওল বন থেকে শুরু হওয়া দাবানল আশপাশের নেভে শালোম, বেকোয়া, তাওজ ও নাচশোন সম্প্রদায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেসিলাত জিওন এলাকার বাসিন্দাদেরও সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশকে এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
দাবানলের কারণে রাজধানী জেরুজালেম ও তেল আবিবের মধ্যে চলাচলের প্রধান মহাসড়ক রুট–১ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে রুট ৩, ৬৫, ৭০ ও ৮৫। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই অঞ্চলগুলো এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া, জেরুজালেম ও তেল আবিবের মধ্যকার ট্রেন চলাচলও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
ইসরায়েলের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার পরিষেবা জানিয়েছে, দাবানল নিয়ন্ত্রণে ৬৩টি অগ্নিনির্বাপক ইউনিট এবং ১১টি বিমান কাজ করছে। জেরুজালেমের পার্বত্য এলাকায় অন্তত পাঁচটি স্থানে আগুনের বিস্তার ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে এটি সেখানে দ্বিতীয় দাবানলের ঘটনা, যা দেশটিকে আরও চাপে ফেলেছে।
ইএইচ