ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫২ হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৫, ১১:৩১ এএম
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫২ হাজার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস উৎখাত এবং জিম্মিদের উদ্ধারের নামে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা ও গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে সহিংসতা ও প্রাণহানি। বর্তমানে গাজায় আর কোনো স্থানই নিরাপদ নয়, নাগরিক জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ভয়ের। একদিকে আকাশ ও স্থলপথে সামরিক অভিযান, অন্যদিকে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ায় মানবিক বিপর্যয় চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে চলমান সংঘাতের শুরু থেকে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ৫৪৫ জনে পৌঁছেছে।

রোববার (৪ মে) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন আরও ১২৫ জন, ফলে চলমান সংঘাতে আহতের মোট সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৯১ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া, ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ইসরায়েলের নতুন হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে আরও ২,৪০০ জন নিহত এবং ৬,৩২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ ও চলমান উত্তেজনা

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক বিস্ময়কর হামলার জবাবে গাজায় সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ১৯ জানুয়ারি একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল।

কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মতবিরোধের জেরে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ফের বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যত ভঙ্গ হয়।

যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর করতে মিশর ও কাতার মধ্যস্থতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইসরায়েল ও হামাস—দুই পক্ষই নিজেদের মূল দাবি থেকে পিছু হটতে নারাজ। ফলে চুক্তি বাস্তবায়নের পথ এখনও অনিশ্চিত।

ইসরায়েলের দাবি, গাজায় এখনো ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে এবং হামাসকে নিরস্ত্র করে তাদের গাজা শাসন থেকে সরানো না হলে কোনও চুক্তি সম্ভব নয়। অন্যদিকে, হামাস বলছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ছাড়া কোনো বন্দি বিনিময় বা শান্তি চুক্তি হবে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা মিশরের প্রস্তাবিত চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেনি, বরং চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে হামাস।

ইএইচ