ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ধ্বংস করেছে ভারতের একটি ব্রিগেড সেনা সদর দপ্তর। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় অন্তত তিনজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক বিবৃতিতে জানান, ভারতের আক্রমণের পর পরই পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ‘দ্রুত, নিখুঁত ও পরিকল্পিত’ প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। এতে ভারতের একাধিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস হয়, যার মধ্যে একটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ ব্রিগেড সদর দপ্তর।
তিনি বলেন, "আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী সীমান্তে প্রতিটি আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
এদিকে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের আরও পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং সীমান্তবর্তী কয়েকটি সেনা ফাঁড়িও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। বিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফায়েল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০।
পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশে ভারতীয় হামলায় কমপক্ষে আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান এ হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে, ভারত জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে চালানো অভিযানে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। তবে তারা দাবি করেছে, এসব হামলায় কোনো সামরিক স্থাপনা টার্গেট করা হয়নি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, "আমরা শান্তি চাই, কিন্তু আত্মসমর্পণ নয়। প্রতিটি গুলির জবাব গুলি দিয়ে দেওয়া হবে।"
বর্ধিত উত্তেজনায় উদ্বেগ জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সংঘাতকে ‘লজ্জাজনক’ উল্লেখ করে উভয় পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিআরইউ