আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ভারতের এ হামলা ‘যুদ্ধের শামিল’ বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে এ কথা জানানো হয়।
বৈঠকে বলা হয়, ভারতীয় সামরিক বাহিনী নিরীহ নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করে। এটি জঘন্য ও লজ্জাজনক অপরাধ। যা মানবিক আচরণের সমস্ত নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক আইনের বিধান লঙ্ঘন করে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সভাপতিত্বে শীর্ষ নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে প্রধান বিচারপতি জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা, আইএসআই ডিজি জেনারেল আসিম মালিক এবং সেনাবাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি, পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল, আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মুসাদিক মালিক, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ, এজিপি মনসুর উসমান আওয়ান এবং প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী তারেক ফাতেমিও উপস্থিত ছিলেন।
কাশ্মীরে হামলার পর কিছুদিন ধরেই পারমাণবিক ক্ষমতাধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছিল, এখন তা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মতো অবস্থায় গড়িয়েছে। ভারত সরকারের এক বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করেছে। এ হামলার পর পাকিস্তান দাবি করে ভারত বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এ হামলা চালিয়েছে। তবে ভারত সরকারের দাবি, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো স্থাপনাকে এ অভিযানে নিশানা করা হয়নি। গত ২২ এপ্রিল ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর থেকে ভারত–পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার সংঘর্ষে জড়াল দেশ দুটি।
আরএস